ছবি: মোনায়েম মন্ডল - সাংবাদিক
স্টাফ রিপোর্টার
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফেসবুকে ছবি সহ জনসচেতনতা মূলক মতামত প্রদান করায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউপি'র গ্ৰাম পুলিশ ওবায়দুর রহমান কর্তৃক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ মারপিট করে হাত পা ভেঙ্গে সাংবাদিকতার সাধ মিটিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।প্রকাশ, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় গ্ৰামের মৃত. আব্দুস সাত্তার মন্ডলের পুত্র ও জাতীয় দৈনিক বাংলার ডাক পত্রিকার সাব এডিটর, বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ট্রাষ্ট অব বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির উপ সচিব মোনায়েম হোসেন মন্ডল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ঢাকা থেকে বল্লমঝাড়স্থ নিজ বাড়িতে এসে নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেন।
সুত্র জানায়, গত ৬ এপ্রিল/২০২০ ইং বিকালে বল্লমঝাড় বাজারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন এসে দোকানপাট বন্ধ সহ বাজারে সমবেত জনগণকে বাজারে আড্ডা না দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে যায়। পরক্ষনেই শত শত কৌতুহলী মানুষ পুনরায় বাজারে সমবেত হয়। সাংবাদিক মোনায়েম সমবেত হওয়ার ছবি ক্যামেরাবন্দি করে তার ফেসবুক আইডি"monayem mondal"এ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনদের অভিনন্দন সহ মতামত প্রদান করেন। এই ছবি ফেসবুকে দেওয়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের গ্ৰাম পুলিশ ওবায়দুর রহমান পরেরদিন গত ৭ এপ্রিল/২০২০ ইং বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে পুনরায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন টহল দিয়ে চলে যাবার পর ফেসবুক আইডিতে ছবিসহ স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে বল্লমঝাড় বাজারে পুলিশী টহল বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকাশ্যে গ্ৰাম পুলিশ ওবায়দুর রহমান সাংবাদিক মোনায়েমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শত শত হাটুরে জরো করে সামাজিক দুরুত্ব ও নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে ফেলে। সাংবাদিক মোনায়েম স্থানীয় ভাবে পরিচিত ব্যাক্তি হওয়ায় এবং সাংবাদিক নাম ধরে গালিগালাজ করে এবং সাংবাদিক মোনায়েমকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় অথবা তার বাড়িতে গোপনে মাদক রেখে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে ছবি তোলাসহ সাংবাদিকতা করার সাদ মেটাবে বলে বলাবলি করে। ফলে সাংবাদিক মোনায়েম এর সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্নসহ সম্মান হানী হয়েছে। ফলে সে কুড়িগ্ৰামের সাংবাদিক রিগ্যানের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটার আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েছে।
নির্ভরশীল সুত্র জানায়, এই গ্রাম পুলিশ ওবায়দুর রহমানকে ইতোপূর্বে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ কয়েকবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে। শুধু তাই নয়- সে নিজেকে গাইবান্ধার ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাম্ভিকতার সাথে চলাফেরা করে থাকে।
সাংবাদিক মোনায়েম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানানোর জন্য বল্লমঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ঝন্টুকে মোবাইল ফোনে ১ ঘন্টার মধ্যে ৭ দফা কল করেন। কিন্তু তিনি রহস্যজনক কারণে মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। পরে এএসপি (এ সার্কেল) মহোদয়কে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগত করেন। তিনি পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করতে বলেন। পরে ৮ এপ্রিল/২০২০ ইং উল্লেখিত গ্ৰাম পুলিশ ওবায়দুর রহমান এর বিরুদ্ধে সাংবাদিক মোনায়েম গাইবান্ধার পুলিশ সুপার বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
সুতরাং করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে মুহূর্তে জীবন বাজি রেখে সিভিল প্রশাসন সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন কাজ করছিল, পাশাপাশি সহযোগী হিসেবে সামাজিক মাধ্যম ও গনমাধ্যমে সাংবাদিকরা প্রচার করে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আসছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে গ্রাম পুলিশ ওবায়দুর রহমান কর্তৃক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে সরকার বিরোধী কার্যকলাপ করেছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে উল্লেখিত গ্ৰাম পুলিশ ওবায়দুর রহমানকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকার সচেতন জনগণ।